ওয়েব ডিজাইনের জন্য সেরা ১০টি ট্রিপস
পৃথিবী এখন প্রযুক্তির। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ ও এখন ডিজিটালাইজ হচ্ছে। এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তিতে। লেখা পড়া, বব্যবসা বাণিজ্য, ঘরে বাইরে সবখানে এখন প্রযুক্তির
ছোয়া লেগেছে। সেই সুবাদে সবাই ক্রমাগত ওয়েবসাইটের উপর নির্ভর হয়ে পড়ছে। এইতো সেদিনের কথা যখন বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ওয়েবসাইট কি সেটা জানত না। আর এখন সেই বাংলাদেশে ব্যবহার হচ্ছে লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইট। এবং এটা উন্নত বিশ্বের মত দ্রুত প্রসার ঘটছে। এবং
সবচেয়ে বড় সুসংবাদ হচ্ছে বাংলাদেশের বর্তমানে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লাখ অনলাইন কর্মী রয়েছে। তাদের অধিকাংশই কোন না কোন ভাবে ওয়েবসাইটের কাজের সাথে যুক্ত রয়েছে। এবং অনেকে আছেন যারা এই পেশায় আসতে চাচ্ছেন। আজ আমি সেই সব নতুনদের জন্য কিছু টিপস শেয়ার করছি
যা জানা আবশ্যক। আসলে এগুলি কোন টিপস নয়, এই কাজে আমার অভিজ্ঞতার কিছু বহিঃপ্রকাশ বা কিছু উপদেশ।
১ নিয়মিত অনুশীলন করুন |
---|
যে কোন পেশার জন্য একটি সার্বজনীন সত্য হচ্ছে, অনুশীলন সাফল্যর চাবিকাঠি। সুতারাং নিয়মিত এবং যত বেশি সম্ভব অনুশীলন করার চেষ্টা করুন। ওয়েব ডিজাইন এর সাথে সম্পর্কিত সফটওয়্যার সম্পর্কে জানুন এবং প্রোগ্রামিং ভাষাতে মাস্টার যেমনঃ HTML5, CSS3, Bootstrap, JavaScript, jQuery, AJAX, PHP, Photoshop ইত্যাদীতে পারদর্শী হওয়ার চেষ্টা করুন। |
২ ডিজাইনকে সহজ রাখুন |
---|
ওয়েব ডিজাইন করতে গিয়ে ডিজাইনকে যতটা সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করুন। একটু খেয়াল করলে দেখবেন, গোগল, পেসবুক সহ যতগুলো প্রফেশনাল ওয়েবসাইট আছে সব ওয়েবসাইটের ডিজাইন খুবই সহজ করে করা হয়েছে। সুতারাং আপনি যা কিছু শিখেছেন তার মধ্য থেকে এমন কিছু সহজ গ্রাফিক্স যোগ করুন যাতে আপনার ভিজিটরের কাছে বেপারটা আকর্ষণীয় হয়। ওয়েব পেজে ব্যবহৃত ছবি এত বেশি বড় করবেন না, যাতে পেজের উপর লোড পড়ে এবং এত বেশি ছোট করবেন না, যাতে ব্যবহারকারীর দেখতে অস্বচ্ছ দেখায়। ছবিকে যথাসম্ভব মাঝারী সাইজে রাখার চেষ্টা করুন। |
৩ থিমকে স্ট্যান্ডার্ড রাখুন |
---|
একটি ওয়েবসাইটে যতগুলি পেজ থাকবে সব গুলো পেজের ডিজাইন একই রকম রাখার চেষ্টা করুন। ভিন্ন ভিন্ন ওয়েব পেজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন স্টাইলের ডিজাইন ব্যবহার করবেন না। যাতে আপনার দর্শকরা আপনার ওয়েবসাইটে নেভিগেট করার প্রতিটি সময় বিভ্রান্ত না হয়। যথাসম্ভব নিজস্ব গ্রাফিক্স ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। পটোশপে গ্রাফিক্স করার সময় কালার কমিনিকেশন স্বচ্ছ রাখার চেষ্টা করুন। |
৪ ডিজাইনকে রেস্পন্সিভ করুন |
---|
মানুষ সাধারণত ডেক্সটপ কম্পিউটারের চেয়ে আলাদা ভাবে মোবাইল ডিভাইসে ওয়েবসাইট ব্যবহার করে থাকে। তাই ওয়েবসাইটকে রেস্পন্সিভ করা খুবই জরুরী। সিএসএস কিউরী দিয়ে রেস্পন্সিভ ওয়েব ডিজাইন করা খুবই সহজ। আপনি যদি গোগল ক্রম ব্যবহার করেন তাহলে এই লিংকের Extensions আপনার ব্রাউজারে এড করুন। Mobile/Responsive Web Design Tester এবং খুবই সহজে পেজকে রেস্পন্সিভ করুন। অথবা আপনার যদি বুটস্ট্রাপ সম্মন্ধে ভাল আইডিয়া থাকে তাহলে বুটস্ট্রাপ দিয়ে পেজকে রেস্পন্সিভ করুন। |
৫ সহজ ন্যাভিগেশন ব্যবহার করুন |
---|
আপনার ওয়েব পেজে ব্যবহৃত সকল লিংকের নেভিগেশন খুবই সহজ এবং সাধারণ রাখার চেষ্টা করুন। অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নেভিগেশান লিংক যেন আপনার ভিজিটরের কাছে খুব দ্রুত দৃশ্যমান এবং উন্মুক্ত মনে হয়। অনলাইনে বিভিন্ন ডিজাইনের নেভিগেশন দেখে বিভ্রান্ত হয়ে যেতম তেমন নেভিগেশন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। মনে রাখবেন, নেভিগেশন হচ্ছে একটি ওয়েবসাটের মুল কেন্দ্রস্থল। সকল ইউজার যেখান থেকে বিভিন্ন পেজে ভিজিট করবেন। সুতারাং আপনার কাছে যেটা দেখতে এবং বুঝতে সহজ মনে হবে, এমন নেভিগেশন ব্যবহার করতে চেষ্টা করবেন। |
৬ নতুন এবং আকর্ষণীয় আর্টিকেল লিখুন। |
---|
যে কোন ওয়েবসাইটে আর্টিকেল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই আর্টিকেলের টেক্সট সাইজ সহজ এবং আকর্ষণীয় টেক্সট রাখুন। যাতে ইউজারের পড়তে এবং বুঝতে সুবিদা হয়। আর ওয়েবসাইট নিয়ে সফল হতে চাইলে অবশ্যই আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে কিছুটা নিত্য নতুন বিষয় নিয়ে লেখার চেষ্টা করুন। অনুমতি ব্যতিত অন্য কারো কন্টেন্ট সরাসরি কপি করা থেকে বিরত থাকুন। হ্যাঁ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। প্রয়োজনীয় সব কিছু ভাল করে পড়ুন, শিখুন এবং নিজের মত করে আর্টিকেল লিখুন। মনে রাখবেন, সফল হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে ট্রেন্ডি হতে হবে। নতুন বিষয় বস্তু নিয়ে লেখা আর্টিকেল আপনার ওয়েবসাইটে পাঠক বাড়াতে সাহায্য করবে। আর ওয়েব পেজের এমন কিছু ইমেজ ব্যবহার করুন, যে ইমেজ গুলোতে আপনার আর্টিকেল সম্মন্ধে ভাব লুকানো থাকে। অন্য কারো ইমেজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনুমতি নিন, নাহলে ফ্রি ইমেজ সাইট গুলো থেকে ইমেজ ব্যবহার করুন। যে কোন ছবি অথবা প্লাগিন ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই লাইসেন্স সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন। লাইসেন্সে সাধারণত কয়েক লাইনের কিছু নিয়ম ধারা থাকে। পড়ুন এবং পড়ে নিশ্চিত হয়ে সেটি ব্যবহার করুন। অন্য কারো ছবি একান্ত ব্যবহার করার প্রয়োজন হলে, তবে ছবিটিকে পটোশপে আপনার নিজের মত করে এভাবে এডিট করুন যাতে মুল ছবি থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম মনে হয়। অযথা আর্টিকেল বড় করবেন না। সংক্ষিপ্ত কিন্তু কার্যকর কন্টেন্ট লিখুন। |
৭ ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া নিন |
---|
ডিজাইন করার সময় ফোটার এরিয়াতে একটি কমেন্ট সিষ্টেম রাখার চেষ্টা করুন। যার মাধ্যমে ভিজিটরদের ফিডব্যাক বা মতামত নিতে পারেন। প্রয়োজনে আপনার পাঠকদের প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী আপনার কন্টেন্ট পরিবর্তন করুন। এবং ব্যবহারকারী যেভাবে চাইবে সেভাবে ওয়েবসাইটটি আপডেট করুন। মনে রাখবেন, আপনার গ্রাফিক্স বা কন্টেন্ট যত উন্নত মানের হোক না কেন, পাঠকদের অনুপস্থিতির কারণে ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সুতারাং পাঠকদের মুল্যায়ন করুন। এবং নিয়মিত তাদের ফিডব্যাক নিন। |
৮ প্রফেশনাল হওয়ার চেষ্টা করুন |
---|
আপনি যত ভাল ডিজাইনার হোন না কেন, আপনি সব সময় আপনার চেয়ে আরো উন্নত ডিজাইনারদের সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করুন। যাদের কাছ থেকে আপনি সাহায্য সহযোগিতা নিতে পারেন। তাদেরকে মুল্যায়ন করুন। অথবা, প্রফেশনাল ডিজাইনারদের করা ডিজাইন গুলো অনুস্বরণ করুন। আপনি ওয়েব ডিজাইন টিপস এবং ট্রিকস সম্পর্কে জানতে চাইলে আপনার সহযোগী ডিজাইনারকে জিজ্ঞেস করতে কখনো দ্বিধা করবেন না। মনে রাখবেন, পৃথিবীতে কেউ সব জান্তা হয় না। আপনি যতটা পারেন শীর্ষ ওয়েব ডিজাইনারদের কাছ থেকে শিখুন। |
৯ ওয়েবসাইটকে SEO করুন |
---|
SEO অথবা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান সম্মন্ধে ভাল করে জেনে নিন। আপনি এখন যেখানে আছেন তার বাঁ পাশের সাইটবারে SEO সম্পর্কে একটি টিউটোরিয়াল রয়েছে, সেটা পড়ে নিন। অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এছাড়াও SEO সম্পর্কে ইন্টারনেটে বাংলায় এবং ইংরেজীতে বেশ কিছু টিউটোরিয়াল পাবেন। ওয়েব ডিজাইনের পাশাপাশি কিছুটা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান শিখুন। এবং আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান করুন। বিশেষ করে টাইটেল বা শিরোনাম, এবং ওয়েব পেজের মূল বিষয়গুলি নিয়ে মেটা কী-ওয়ার্ড গুলি লিখুন। সর্বোচ্চ ১৬০ অক্ষর অথবা ১০ থেকে ১৫ শব্দের মধ্য কী-ওয়ার্ড নির্বাচন করুন। ওয়েব পেজের কন্টেন্ট পেসবুক, টুইটার সহ সকল সোস্যাল সাইটে শেয়ার করাও সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশানের একটি কাজ। সুতারাং সাইটের কন্টেন্ট শেয়ার করার জন্য প্রতিটি ওয়েব পেজের দৃশ্যমান কোন স্থানে সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার বাটন রাখুন। |
১০ নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন |
---|
যে কোন পেশায় নিজের উপর বিশ্বাস রাখাটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি যা করেন তা নিয়ে নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। নিজের উপর পূর্ন বিশ্বাস না থাকলে আপনি কখনোই একজন সফল প্রফেশনাল ডিজাইনার হতে পারবেন না। Overconfidence নয়, তবে নিজের উপর বিশ্বাস আপনাকে এতটুকু প্রেরণা যোগাবে যাতে আপনি কখনো নার্ভাস হবেন না। কাজ করতে করতে বিরক্তবোধ করলে কিছুটা বিরতি নিয়ে নিন। নিজেকে আবার মানুষিক ভাবে তৈরি করুন। এবং সহজ ভাবে কাজ করুন। |

রঙ করা শিখুন

এইচটিএমএল আইকন

ওয়েবের যত ফন্টস

সিএসএস এনিমেশন

হরেক রকম মেনু

সিএসএস নকশা
